মালদহ নিউজ ডেস্ক : মালদহে এবছর রেকর্ড লিচু ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিলেও জামাইয়ের পাতে লিচু পড়বে কিনা সেনিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। করোনা পরিস্থিতেতে মালদহে সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। লিচু উতপাদক মহলও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। লিচুর ব্যাসবার সময় এই লকডাউন চললে লিচু ব্যাসবা যেমন লাটে ওঠবে তেমনি মানুষ রাস্তায় কম বেরোনোর কারনে লিচু বিক্রি কম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মে মাসের শেষের দিকে জামাই ষষ্ঠী পার্বণ রয়েছে। সেই পার্বণে মালদহে বাজারে লিচু পর্যাপ্ত মিললেও ক্রেতার ওভাবে ব্যাবসায়ীদের মাথায় হাত পড়বে। যে কারণে জামাইয়ের পাতে লিচু পড়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে । মালদহের লিচু জেলার বাইরে যায় । লকডাউনের কারনে বিভিন্ন প্রান্ত সিল থাকায় বাণিজ্যিকভাবে লিচুর রপ্তানিতে সমস্যা হবে। ব্যাবসায়ীরা বলেন, এবারের ফলন ২০১৩ সালের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে ।

বাগানগুলিতে ফলের যে গতি প্রকৃতি তাতে রেকর্ড ফলনের সম্ভাবনার দিকে এগোচ্ছে। মালদহের লিচুর বাগান গুলিতে যে পরিমাণে মুকুল ফুটে গুটি ধরেছে তাতে অনুমানও ছাড়িয়ে যেতে পারে । ভাইরাসের মধ্যেই লিচুর ব্যাপক ফলনের ইঙ্গিত মিললেও বাজার ভালো হবে না । মালদহ ম্যাংগো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জল সাহা বলেন, আমের মতো লিচুর ফলন ভালো আছে। তবে জামাইষষ্ঠীর বাজারে বিক্রি এবং রপ্তানি নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে লকডাউন লম্বা চলতে থাকলে লিচু ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। বাজারে লিচু এভেলেবেল থাকলেও ক্রেতার অভাব দেখা দিবে । তবে তার আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে লিচু ব্যবসায়ীরা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেন ।

এ বছর মালদহে ১৪ থেকে ১৫ হাজার মেট্রিক টন লিচু ফলনের সম্ভাবনা উঠে এসেছে। জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকে বাণিজ্যিকভাবে লিচু চাষ হচ্ছে। তার মধ্যে কালিয়াচক ১, ২ এবং ৩ নম্বর ব্লকে লিচু চাষ বেশি হয়। মালদহের সব থেকে বৃহৎ লিচু চাষের এলাকা হচ্ছে কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লক। কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকে লিচু চাষ ব্যাপক আকারে হয়। এছাড়াও কালিয়াচক ২ নম্বার ব্লকের কিছু অংশ এবং রতুয়া ১ নম্বর ব্লকে বাণিজ্যিকভাবে লিচু চাষ হচ্ছে।পাশাপাশি জেলার বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন ব্লকে লিচু চাষ হয়ে আসছে। ছবি ও তথ্য সুশীল মন্ডল — প্রেস এজেন্সি ।