করোনার মতো মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন মানিকচকের নারী দিয়ারার এক শ্রমিক। পরে একের পর এক করোনা আক্রান্তের খবর নিয়ে হৈ চৈ এমনিতেই রয়েছে। জেলাই এ নিয়ে শ্রমিক মহলে অনেকেই আতঙ্কে রয়েছেন। তাতে যে ধান কাটা যাবে না সেটাই দেখিয়েছে পুরাতন মালদহের একটি গ্রাম। কৃষি অধ্যুষিত পুরাতন মালদহের সাহাপুরে গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ভাটরা গ্রামে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ এর পাশাপাশি পোস্টার দিয়ে কৃষকদের ধান কাটার ফতোয়া জারি করেছেন গ্রামবাসীরা । এতে বিপাকে পড়েছে এলাকার শতাধিক কৃষক। ওই গ্রামের আশেপাশে প্রচুর কৃষিজমি রয়েছে। এলাকার ভাটরা বিল সহ পার্শ্ববর্তী কৃষি জমিতে প্রচুর এই মুহূর্তে অনেক ধান জমিতে পেকে গিয়েছে। সঠিক সময়ে সেটি না কাটলে কৃষকের লোকসান চোকাতে হবে। এমনিতেই করোনা আবহে কোনও কাজকর্ম নেই। তার ওপর ধানের উপর খাড়া ঝুলছে লকডাউন।

এদিন ওই গ্রামে ধান কাটা নিয়ে ফতোয়া জারি হওয়ায় পুলিশ গিয়ে রাস্তার ব্যারিকেড সরিয়ে দেয় । গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, জেলায় প্রথম করোনার হদিসের পর থেকেই আমরা আতঙ্কিত। যে সমস্ত কৃষক ধান কাটতে আসবেন তারা অতিরিক্ত শ্রমিক আনবেন এটা স্বাভাবিক । শ্রমিক এলে তার সাথে সংক্রমণ ঘটতে পারে। তাই গ্রামের রাস্তা গাছের গুড়ি ফেলে ঘিরে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সেটি তুলে দিয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে মাঠের ধান ঘরে না তুললে কালবৈশাখী ঝড় ,শিলাবৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এলে প্রচুর লোকসান হবে। রেড জোন ঘোষণা হতেই গ্রামে কৃষকদের ধান কাটা নিয়ে পোস্টার পড়ে যায় । এ নিয়ে আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে ছিলাম। এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন এই মহামারির মতো পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর খেয়াল রাখা হচ্ছে। – প্রেস এজেন্সি ।