মালদহ নিউজ ডেস্ক : মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের নতুন করে আরও তিনজনের শরীরে করোনা আক্রান্তের হদিস মিলায় জেলা জুড়ে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আগে চার জনের শরীরে ভাইরাস মিলেছিল। সব মিলিয়ে নতুন করে যে ৭ জনের দেহে মারণ করোনা ভাইরাস মিলেছে সবগুলোই পরিযায়ী শ্রমিক বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে জেলাজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় ভিনদেশ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরছেন । তাদের মধ্যেও করোনাভাইরাস রয়েছে কিনা সে বিষয় নিয়ে বাসিন্দারা সংশয় রয়েছেন। ইতিমধ্যে জেলার ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইন গুলিতে আর নতুন করে শ্রমিকদের না রাখাই বাসিন্দারা গণহারে সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন। ইতিমধ্যে করোনা টেস্ট জেলাজুড়ে সব মিলিয়ে ১০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস মিলেছে। তবে বাহারালের এক মহিলা করোনা জয় করে এসেছেন । তবে জেলার আরও কয়েক হাজার শ্রমিক ফিরছেন। তাতে জেলার সর্বত্রই সংকরারা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যারা বাইরে থেকে ফিরছেন তাদের জন্য পৃথক থাকার ব্যবস্থা এখনও চালিয়ে যাক প্রশাসন। যদিও এ বিষয়ে প্রশাসনের কর্তারা মুখ খুলতে চাননি। এদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর একাধিক করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির হদিস মেলায় বাসিন্দারা ভিন রাজ্য থেকে ফেরত ব্যক্তিদের নিজেদের উদ্যোগে তাদের পৃথক রাখার ব্যবস্থা আয়োজন করছেন বলে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি। যদি এমনটাই হয় তাহলে অনেকটাই সংক্রমণ রাখা যাবে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। এদিকে নতুন করে করোনা রিপোর্ট পেলে আরও কতজনকে ভাইরাসের প্রকোপে পড়তে পারেন সে বিষয় নিয়েই বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন রয়েছেন। ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমিত এলাকাগুলিতে বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগেই সিল করে দিচ্ছেন। এনিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরের একাধিক ছোট গ্রামীন রাস্তা গুলি বন্ধ হয়ে আছে। বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক কাজ করছে। বাসিন্দাদের বক্তব্য,যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক বাইরে থেকে ফিরছেন তাদের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে কিনা সে বিষয়ে সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের পৃথক রাখার ব্যবস্থা হোক। তা না হলে জেলায় দিনের-পর-দিন বিপদ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও করোনা রুখতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের আধিকারিকরা একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। — প্রেস এজেন্সি ।