
প্রেস এজেন্সি ডেস্ক: পাত্রের বয়স বাইশ বছর। পাত্রী এখনো বিবাহযোগ্য হয়নি। সরকারি নিয়ম মতে আঠারো বছরের নিচে। সেই নাবালিকা পাত্রীর সাথে বিয়েও সম্পন্ন হয়েছে সামাজিক মতে। বিয়ের বউভাতের সমস্ত আয়োজন চলছিল। বউভাতে ছেলের বাড়িতে হাজির প্রশাসনের কর্তারা। বউভাতে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের দেখে স্তম্ভিত হয়ে পড়েন বিয়েবাড়ির আত্মীয় স্বজনেরা। কারণটা তখনই জানা গেল পাত্রীর বয়স কম। তাতে ছাড় নেই এলাকার প্রধানের। কী করে কম বয়সে বিয়ে হলো এ নিয়ে প্রশাসনের কর্তাদের রোষের মুখে পড়েন প্রধান। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি বিয়ে রোধের সায় দেন। তার সাথে মুচলেকা দিয়ে অঙ্গীকারপত্রে স্বীকার করেন প্রধান। এ বিয়ে হলেও পাত্রী তাঁর আঠারো বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বাবার বাড়িতেই থাকবেন। এ সংক্রান্ত কোনো বিধি লঙ্ঘন হলে তিনি অপরাধী মনে করবেন। এনিয়ে প্রধানের সাথে যোগযোগ করা হলে তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় প্রতিক্রীয়া মেলেনি। স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হবিবপুরের মঙ্গলপুারা এলাকায়। লুকিয়ে চুরিয়ে এখনো নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে তা তারই প্রমাণ মিলল। যদিও পঞ্চায়েত জনপ্রতিনিধি প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কীভাবে নাবালিকাদের বিয়ে হচ্ছে সেনিয়েও বিস্তর প্রশ্ন উঠছে। রাতে বিয়ে বাড়িতে যান শিশু সুরক্ষা আধিকারিক অম্বরিশ বর্মন। এ বিষয়ে শিশু সুরক্ষা আধিকারিক শিবেন্দু শেখর জানা বলেন, করোনা ভাইরাসের আবহে সুযোগে অনেকে বিবাহ দিয়ে দিচ্ছেন। আমরা এ নিয়ে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি । বাল্যবিবাহ রোধে অ্যাওয়ারনেস করা হবে। পুলিশ কর্তারা বলেন একটি বিবাহ হয়েছে সে নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
